আগুনের পরশমণি এটি ১৯৯৫-এর একটি বাংলাদেশী স্বাধীনতা যুদ্ধ বিত্তিক চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, এটি তাঁর নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মান কনের এবং এটিই তাঁর পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটিতে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর ডলি জহুর সহ আরো অনেকে।
চলচ্চিত্রটি ১৯৯৮ সালে ৮ টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পায়। যথাঃশ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: হুমায়ূন আহমেদ,শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: হুমায়ূন আহমেদ,শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: বিপাশা হায়াত,শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক: সত্য সাহা,শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: মফিজুল হক,শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: শিলা আহমেদ, শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: হোসনে আরা পুতুল
কাহিনী সংক্ষেপঃ১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের। হঠাৎ শুনতে পেলেন বজ্রকণ্ঠের অংশ বিশেষ : ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি / রক্ত আরও দিবঃ / এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম / এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।মতিন সাহেবের পরিবারে কয়েকদিন পর হাজির হন উনার বন্ধুর ছেলে বদি (আসাদুজ্জামান নূর) বদিএবং তার সাথের মুক্তিযোদ্ধা রা একের পর এক অভিযান করে সফলতা লাভ করে কিন্তু এক এক করে তারা পাক বাহিনী র হাতে বন্ধী হয়। ধরা পড়েও গেরিলাযোদ্ধা রাশেদুল করিম (ফজলুল কবীর তুহিন) জিজ্ঞাসাবাদের সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে। হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তাঁর। মাথা নোয়াননি।অবশেষে আসাদুজ্জামান নূর গুলি খান। তাকে সারানোর মত ডাক্তার ঔষধের এর জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্ত বাচতে? তিনি কি আরেকটি সূর্যালোক দেখতে পাবেন?
File Size: (950 MB)